ছোটবেলায় পূজোয় পোশাক পেতাম। উপহার। এখন নিজেই নিজেকে উপহার দিই। এবার দিলাম। কবিতাসমগ্র- বিষ্ঞু দে।
বারান্দায় একান্তে। আজ বিজয়ার রাতে। বেশ কাটল।
মৌসুমী ঘরে। টিনটিন ট্রেনে। এক প্রিয় বন্ধু বিমানে।
আজ বিজয়া। সবার ভালো থাকার প্রার্থনা। মনে মনে। ফোনে ফোনে।
বিষ্ঞুবাবুর কবিতা পাঠ আমার কাছে বেশ একটা ব্যপার।
স্নান করে, শুদ্ধ মনে, শুভ্র বসনে নিরালায় বসে পড়ি।
অদ্ভুত এক মাদকতায়।
পড়ি। লিখি। আবার পড়ি। আবারো লিখি।
বিজয়া - পাঁচ।।
১)
নির্বাক শ্রোতা হয়ে ছিলে, এ মিছিলে
চেরা পতাকায়, কোন খেয়ালী মন্ডলে
হে সজ্জ্বন, তুমি কি জানোনা স্লোগান
'ধ্রূবতারা বিদেশী আকাশে জ্বলজ্বলে'।।
২)
দীক্ষা নিয়েছি তাই, কব্জিতে জড়াই
লাল সুতো। কোন আহাম্মক লড়াই
করেছে বিসর্জনে। আমি বেঁচে আছি
আমার আঙিনায়। নিরংকুশ বড়াই।
৩)
বৃষ্টি দেখেছো? ইসলামপুর থেকে
চকচকে কুশমন্ডীর ও পথে? বেঁকে
গেছে পথ। দু পাশে কাশবন বৃষ্টিতে
উতলা। উতাল হাওয়ার হাঁকডাকে।
৪)
দিনান্তে আজ বিসর্জন। অপরিচিতের
ফোন। কুশল বার্তা বিনিময়। প্রিয়জন
আছে আশেপাশে। ঘরে, বিমানে, ট্রেনে।
বারান্দায় বিজনে। আমি ও বিষ্ঞু দে।
৫)
পল্লীতে পল্লীতে আতসবাজি। কোন
উৎসব আজ এ পাড়াগাঁয়ে। মেজাজী
মজলিশ শেষ কবে দেখেছে নাচঘর ?
মোকদ্দমা হবে এজলাসে। নয়ডায়।
No comments:
Post a Comment