Tuesday, June 20, 2017

নয়ণাভিরাম।।

বোঁদলেয়ার। ফরাসী কবি। একটা লেখা পড়লাম। বহু বহু বছর পর। লেখাটা প্রথম যখন পড়েছিলাম। খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তখন একুশ বাইশ। মনও নরম। অল্পেতে নাড়া খেত। মনে আছে। মশারির ভেতর অনেক রাত্রে লেখাটা পড়ে কিছু লিখেছিলাম। হারিয়ে গেছে।
আজ আবার পড়লাম। এখন বয়স হয়েছে। কামদুনি- দিল্লী- পার্কস্ট্রীট অভিজ্ঞ মন। তাই পড়লাম। অন্য একটা অনুভূতি হোলো। রাগ। ক্ষোভ। হতাশার। খুব মন খারাপ হোলো। আগের হারিয়ে যাওয়া লেখাটার জন্যে।

নয়ণাভিরাম।।

তুমি হেমন্তের ঝরা বিকেল, ফিকে আকাশ
ঢেউ তোলো কত উতাল, অসুখী লাভায়
আমার ও ওষ্ঠে নোনা জল, অশ্রু আভাস
মননে তুমি, শুধু তুমি, প্রিয় ভালোবাসায়

তোমার অঙ্গুলি স্পর্শে আমারো শিহরণ
যা খোঁজ তা মলিন খোবলানো অপবিত্র
শৃগালের নখ পাশবিক স্বাক্ষরে চিরন্তন
কি খোঁজ তুমি,প্রিয়, হৃদয় লালায় সিক্ত

এ ধ্বংস আজ পশুর বাসস্থান
নিয়ত ছিঁড়ে খায় নরম শরীর
আহ্লাদে মাতে যত জানোয়ার
শুধু চন্দন বনে সুগন্ধ গভীর

হে সৌন্দর্য, আত্মার সপাট চাবুক,
এই বেলা খুঁজে নাও
ধ্বংস করো যে টুকু অবশিষ্ট
তারপর, প্রিয়, শুধু
আমাকে আমার মত থাকতে দাও ।।

সে রাস্তা।।

অক্টাভিও পাজ। মেক্সিকান কবি। রাজনীতিবিদ।

বহু পুরষ্কার পেয়েছেন। নোবেলও।

আজ পড়লাম। The Street.

---------------------------------////----////

সে রাস্তা।।

সেই তখন থেকে হেঁটে চলেছি, নির্জন
নিরালায়
বড় অন্ধকার গুমোট এ' গলি , হাঁটি
আশংকায়
হোঁচট খাই, উঠি , পড়ি, উঠি , পাথুরে
রাস্তায়
শুকনো পাতা খরখর, মনে হয় পিছনে
ধীর পায়
কেউ হাঁটে, আমার গতির সাথে সাথে
পা মেলায়
আমি জোরে, সেও জোরে, যেন তরঙ্গ
হাওয়ায়
বড় অন্ধকার, এ রাস্তা, আজ মেতেছে
গোলকধাঁধায়
হেঁটে যাই তবু, যদিও ও প্রান্তে কেউ নেই
অপেক্ষায়
আমার সামনেও কেউ নেই, যে ঘুরে বলবে
'কি হে, কোথায়?'


প্রতীক্ষায়।।

দুজন মানুষ সংসার করে। যত্নে। ভালোবাসায়। সহ মর্যাদায়। সুজন মানুষ। কত সাধ- আহ্লাদ তুলে রাখে। আগামীর অপেক্ষায়। কত কথা না বলা থেকে যায়। দ্বিধায়। ভাবে। একদিন সুযোগ হবে নিশ্চয়। কত অভিমান, স্বাভিমান হয়ে যায়। মিথ্যে ফানুস উড়ে যায়। সুখের আশায়। বিলাসী কল্পনায়। এ বাসা। ও বাসায় ।।

প্রতীক্ষায়।।
একদিন কুয়াশায় ঢেকে যাবে কথা
আসমানী রং হবে ক্ষেতের ফসল
আঙ্গুলে আঙ্গুল স্পর্শে, মিতা
হেঁটে যাব টলমল
তখনও কি এত অভিমান
এত স্বাভিমান অন্তরে
তখনও কি তুমি নাবিকের মতো
সাবলীল অচেনা বন্দরে

যে গাংচিল দেখিনি কোনো দিন
যে মেলা খোয়াইয়ে হারায়
সেদিন হয়তো বা, মিতা
দেখে নেব অশনি শংকোয়
আজ চলো, হাঁটি, মিছিলের ভিড়ে
এ নীড়, ও নীড়, মিতা, অন্য কোনো নীড়ে ।।

জাপানী আহার।।

This is dedicated to her
The Japanese cuisine connoisseur

Missing Mousumi.

জাপানী আহার।।

জাপানি খাবারে এখনো রপ্ত নয় রসনা
তবু পরিবেশ আর পরিবেশনে মোহনীয়
সাবলীল নই, দু-কাঠি ব্যবহারে ইস্তক
তবু চিংড়িটা রক্তে আছে, তাই সহজীয়

সুশিতে খুশী নয় মন, উদরেও প্রতিবাদ
লাল নীল কত নাম না জানা তরল
মিসো সুপ গলধঃকরন বেশ শোচনীয়
টেম্পুরা জানি ভাজা চিংড়ি সরল

সবুজ-চায়ের বরফ গোলা পাত শেষে
উপরে পুদিনা- তুলসী পাতার বাহার
বেশ মিস্টি হাসে তিন জাপানী বালা
সাকীর চুমুকে শেষ হোলো সান্ধাহার।

কাপাস ।

Below is a poem by an Afghan poetess. Shakila Azizzada. She is the only one who knows what she wanted to convey. For her readers, it is up to interpretation.

For decades this amazingly beautiful country has been torn by terrorists and fanatics and by Communists.

Recently, it has had its brush with democratic processes. That comes stealthily. Through long silent negotiations. And electoral processes.

And as the citizen rises to embrace, democracy fails in governance, in protection and in fraternity.

Citizens lose dreams of living in conditions of 'vox populi, vox dei'. Yet more the democracy drifts away, more is the longing for the illusory mode of governance.

A Feather
(Shakila Azizzada)

Just as my dream
hears the sound of your steps,
that's when you enter
quietly, quietly on tiptoe.
You crawl under the sheet
like a kitten, your eyes
drinking me in.
Asleep or awake,
you lap the silk of my dreams.
In the moment it takes
to put your arms round my neck,
you're fast asleep on the pillow.
And I, half-asleep, half-awake,
just when I am drained of dreams,
am filled with you and replenished.

কাপাস ।।

নিশুতি রাত। বহু দূরে কোনো মাতালের হাঁকডাক।
আধো ঘুমে শুনি। তোমার পায়ের ধীর শব্দ। যদিও
কার্পেট পাতা, তথাপি পা টিপে হাঁটো।

এইতো চাদর সরালে। শরীর ধীরে ধীরে এলাও
বিছানায়। কি অদ্ভুত দেখো আমায়। চোখ বোজা।
তোমার দৃষ্টি ছুঁয়ে যায় আমার স্বপ্ন অবয়ব।

মুহূর্তে আমি তোমায় আলিঙ্গন করি। তুমি গাঢ
নিদ্রায়। নরম তাকিয়ায়। আর আমি? আধো
জাগা- আধো ঘুমে।

স্বপ্ন ভেঙে যায়। মনন তোমাতে মেলায়।।

পাখী- মন

A bell boy.
As we rode in a boring elevator. I asked him. 'What is your name?'
As if with a stroke, he spread his arms, wide and far and replied ' Eagle '.
Outside the elevator, as I asked 'Picture?'
He stopped. And looked at the ceiling.

মেহনতী ডানায় ভর করে উড়ে যাও বালক
ভেঙে ফেলো এ' কংক্রিট দেয়াল
এখনো পিঞ্জরে ছটফট করো, অবুঝ বালক
এ' শিকল জেনো, মনের খেয়াল

বাইরে উন্মুক্ত আকাশ
তোমার পেশীতে দানবীয় শক্তি
তুমি স্বপ্ন দেখো আজও স্বাধীনতা
কাটুক, ছিঁড়ুক, হোক না রক্তারক্তি

তারপর খোলা আকাশ, ভাসমান মেঘ
তুমি উড়ে যাবে, নীচে সবুজ ঘন বন
তোমার ডানায় লেখা হবে রূপকথা
সাহসী হবে আরও কত পাখী- মন ।।


তুমি, প্রিয়দর্শিনী।।

ইরাক। যুদ্ধ। ধ্বংস। ক্ষয়। তারই মাঝে। কোনো অসুখী মন। কবিতা। প্রশ্ন ওঠে। এই কি সময়? বারুদের গন্ধ কি আতরে
মেটায়? কি জানি? কবি কি জানে? জানি না। এ টুকু জানি। ইরাকে। আজও প্রেমের কবিতা লেখা হয়। প্রেম মানে ভালোবাসা। ভালোবাসা মানে আশা আছে নিশ্চয়।।

তুমি, প্রিয়দর্শিনী।।

তরঙ্গের ঢালে মিশে যাও সুন্দর
জোনাকির মত জ্বলজ্বল চোখ
অবয়ব আঁধার ধোঁয়াশা ঘেরা
তুমি ক্ষণিকের, তবু অবিনশ্বর

হাওয়ায় আতরের মিঠে খুশবু
ময়ূরীর মত গ্রীবা, হেঁটে যাও
স্বপ্নের কোনো পরী উদাসিনী
তুমি মেধাবী তবু চঞ্চল নও

অক্ষরে অক্ষরে ঝরে প্রেম
গান ভেসে আসে শাঁওনে
মুখোশ আড়ালে যে তুমি
বেঁচে আছি তার ভরসায়।।

The Mistress

Ali Adhab

A fine beauty blended the waves of sea
Sparkling eyes, like stars of christmas tree
Mystery throngs the atmosphere of her existence
Her scent fills the wind, recognizable from distance
She walks like a peacock, speaks like a dove
Like a heavenly angel, sent from above
Modest and humble, selective, with thoughts
She writes of love and beauty with countless dots
Melancholy, but joy behind the showing smile
Determined to win the race of thousand and one mile
Is it mystery? Or craving love is what she need
Unless she speaks, it will be a secret indeed