তখন আমি বাবুরহাটে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। একদিন এক দুপুরে এক প্রবীন স্বাস্থ্যকর্মী শুনিয়েছিলেন তার কর্মজীবনের গল্প। গুটিবসন্ত মুছে যাওয়ার গল্প। চিলাপোতার জঙ্গলে হাতি আর বাইসনের পদচিহ্ন ধরে হেঁটে যাওয়ার গল্প। প্রান্তিক গ্রামের খোঁজে। শুনিয়েছিলেন টাইপরাইটারে রিপোর্ট লেখার গল্প। জঙ্গলে তাঁবুতে রাত কাটানোর গল্প।
ঠান্ডা চায়ে গলা ভিজিয়ে বলেছিলেন
'একদিন নতুন কোনো স্বাস্থ্যকর্মী হেঁটে যাবে নতুন কোনো সমস্যার খোঁজে। হেঁটে যাবে হাতি, বাইসনের পাশাপাশি আমারও
পায়ের ছাপ ধরে। এটুকু ভেবেই শান্তি। '
পদচিহ্ন।
অনেক দেখেছেন আপনি। গুটী-বসন্তের শেষ
চলমান রেখা ভারতে আফ্রিকায়। অতিক্রম
করেছেন মরুভূমি, ঘন জঙ্গল আর নাগরিক
মিনার। জীবানুর খোঁজে। রাতের নির্জনতায়
আপনার আঙ্গুল মসৃন ওঠা নামা করে টাইপ
মেশিনে। বাইরে পূর্ণিমা। তবু সে সময় কোথায়?
আপনি মগ্ন গবেষনায়। আগামী এক জার্নালে
লেখা হবে জন-স্বাস্থ্যের নতুন অধ্যায়।
একদিন সব থেমে যাবে। কালের নিয়মে নতুন
প্রজন্ম ধরে নেবে হাল। নতুন সমস্যা। নতুন
সমাধান। সেই পরিচিত ভারতে আফ্রিকায়।
উল্লাস বিজ্ঞানের। আপনারই হাঁটা পথে নতুন
প্রজন্ম হেঁটে যায়। লেখা হয় নতুন অধ্যায়।
জন-স্বাস্থ্যের সবুজ পাতায়।
No comments:
Post a Comment