আমার জন্ম জলপাইগুড়িতে। শিল্প সমিতি পাড়া। প্রথম রসনার স্মৃতি। বেকারির গরম পাঁউরুটি। কি নাম ছিল। বোধায় জেসিস বেকারি।
তার পর ছেলেবেলা। কার্শিয়ং- দার্জিলিং- শিলিগুড়ি। রন্জিত হোটেল- সলুজা- ডিকিস্- গ্লেনারিজ- কেভেন্টার্স। সব ছাপিয়ে। রাস্তায় অনামী মোমো। শাল পাতায়। লঙ্কার চাটনি। চলাচলে মাংস ভাত। জলপাইগুড়ি। রুবি বোর্ডিং। কাঁঠালতলা।
কর্মজীবনের অনেকটা উত্তরবঙ্গে। কল্পনায় চিতল পেটী। আলিপুরদূয়ারে মহান্তি হোটেল এ খাওয়া। তবে সব চেয়ে উজ্জ্বল স্মৃতি নাম না জানা ছোট পাইস হোটেল এ গরম ভাত- ডাল- পেঁয়াজ- কাঁচা লঙ্কা- ছোটমাছের ঝাল।
আর সার্কিট হাউসে সোনালী মুরগীর ঝোল- ধোঁয়া ওঠা ভাত।
অমৃত। উত্তর বঙ্গ।
রসনায় উত্তর বঙ্গ।।
কোচবিহার:
ছোট মাছ চচ্চড়ি অতুলনীয়া
তার সাথে সাদা ভাত কালো নুনিয়া
কুচবিহারের স্বাদ রসনা কামাল
নিংড়ে লেবুর সাথে সোনামুগ ডাল।
জলপাইগুড়ি:
দূর থেকে দেখা যেত উঁচু হোর্ডিং
জ্বলজ্বলে নিয়নে রুবি বোর্ডিং
কাঁসার থালায় রাখা কোল-গাদা পিস
টমেটোর চাটনিতে ছোট কিশমিশ
দার্জিলিং
বাজারের এক কোনে নেপালী দাজু
নাম জানি না,তাই, হোক না রাজু
সুস্বাদু মোমো রাখা ঝুড়ি ভত্তি
ফিসফিস জিগোতাম 'দাজু কত্তি ?'
উঃ দিনাজপুর
রকেট দাড়াত এসে ঠিক দশটায়
ডালখোলা ক্রস করে বড় ধাবাটায়
রুটি সহযোগে প্লেটে তড়কা গরম
হেমামালিনী যথা সঙ্গী ধরম ।
দ: দিনাজপুর
আত্রেয়ী পার করে ছোট্ট চালা
বিশেষত মনে আছে পাতার থালা
ছোট মাছ সর্ষেতে বেশ মাখা মাখা
ঘামতাম ঝালে ঝোলে, ঘুরত পাখা ।
মালদা
সার্কিট হাউসে রাতের আহার
মুরগীর ঝোল আর মাছের বাহার
কই মাছ টাটকা, দু পিস খেতাম
আম খেয়ে বলতাম 'মালদা সেলাম'।।
No comments:
Post a Comment